Dr. Shamsul Alam https://drshamsulalam.com Sat, 18 May 2024 10:49:25 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.3 https://drshamsulalam.com/wp-content/uploads/2023/10/cropped-cropped-379520921_122097042884048808_8506962703549045947_n-32x32.jpg Dr. Shamsul Alam https://drshamsulalam.com 32 32 কেন কং এর হার তিনটি রাজ্যে – https://drshamsulalam.com/2024/05/18/why-cong-lost-in-3-states-analysis-by-dr-shamsul-alam/ https://drshamsulalam.com/2024/05/18/why-cong-lost-in-3-states-analysis-by-dr-shamsul-alam/#respond Sat, 18 May 2024 10:49:25 +0000 https://drshamsulalam.com/?p=75 ~ড. শামসুল আলম

কং এর তরফে মূল ত্রুটি বিচ্যূতি এক নজরে :
১. মধ্যপ্রদেশে anti incumbency র হাওয়া তুলতে না পারাই ব্যর্থতা র বড় কারণ। তার মধ্যে আছে আদিবাসীদের ওপর সামাজিক- আর্থিক বঞ্চনা তুলে না ধরা, এমনকি আদিবাসীর মুখে মন্ত্রীর পুত্রের পেচ্ছাপ করার মতো নৃশংসতম অত্যাচার হাইলাইট না করা, ব্যপম কেলেঙ্কারীকে সামনে না আনা, মুসলিমদের ওপর বুলডোজার এবং শিক্ষায় গেরুয়াকরণ সমেত লাগাতার নারী নির্যাতনকে সামনে না আনা এবং সর্বোপরি, কমলনাথের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ব এবং তার INDIA জোটের মিটিং করতে না দেওয়া ছাড়াও আছে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশকে অসম্মান করা।
২. রাজস্থান এবং ছত্রিশগড়ে কং প্রশাসনের দূর্নীতির অভিযোগের দিকে সংঘ পরিবার যে আঙুল তুলতে পেরেছে ED CBI দিয়ে, তাকে খন্ডন করতে ব্যর্থ হওয়া ছাড়াও আছে রাজস্থানে মুহুর্মুহু নারী নির্যাতন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের অসাধারণ আইন পাশ হলেও কার্যকরী না হওয়া গেইলটের রাজ্যে, ছত্রিশগড় ও রাজস্থানে আদিবাসী জাতির জল জঙ্গল জমির অধিকারের কং আমলের ২০০৬ সালের বনাধিকার আইন কার্যকর না করা।
৩. INDIA জোটের শরীকদের কোন আসন না ছাড়া এবং 1:1 লড়াইয়ে বিজেপিকে মানসিকতা বর্জন করে কং একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে মরীয়া হয়ে INDIA জোটের বিরাগভাজন হওয়া যার জন্য ১২% ভোট কেটে জোটের কিছু দল কংকে বিপদে ফেললো যার জন্য পুরোপুরিভাবে দায়ী কং নেত্তৃত্ব যার ওয়ার্কি কমিটি পর্যন্ত গঠিত হয় নি পুরোপুরি এবং ফলে গোটা নির্বাচনে রাহুল- প্রিয়াঙ্কা – খাড়্গে শো ফ্যাসিস্টদের হাতে বংশীয় শাসনের অস্ত্র তুলে দিল কং।
৪. সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে INDIA জোটের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারা এবং তার ফলে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা ম্লান হয়। এর কারণ এযাবতকাল নূন্যতম কর্মসূচি পেশ করতে ব্যর্থ হওয়া। অর্থাৎ মোদী ফ্যাসিবাদী একনায়কতন্ত্রের বিকল্পের সন্ধান দিতে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস। শুধু ৫ দফা গ্যারান্টি ঘোঘণায় যে কাজ হয়না তা প্রমানিত হয়ে গেল মোদীর ুএকগুচ্ছ গ্যারান্টি সামনে আসায়। এককথায়, সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট মোদী জমানার দূর্নীতি থেকে শুরু করে SC ST Minority OBC -women সহ কৃষক শ্রমিক মধ্যবিত্ত, ছাত্রযুবদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেনি কং। এমনকি CAG রিপোর্ট, মনিপুর, হরিয়ানা, কোনটি সামনে আসে নি। কর্নাটক বিকল্প মডেলে যে অসাম্প্রদায়িক সেকুলার দিকটি আছে তাও তুলে ধরতে ভয় পেল কং পাছে মেরুকরণ বেড়ে যায়। তাই রাজনৈতিক অপরিপক্কতা রন্ধ্রে রন্ধ্র ফুটে উঠেছে।
৫. money muscle media mafia র সাথে হিন্দু হিন্দি হিন্দুস্থান এর বিরুদ্ধতা করতে গেলে যা দরকার ছিল তা হচ্ছে মোদী জমানার নির্বাচনী বন্ড আইনের বিরুদ্ধাচারণ করা, মোদী- আদানী আতাত তুলে ধরা, গদি মিডিয়ার মিথ্যাচারের মুখোশ খোলা যা ঠিকভাবে হয়নি। সেকুলার গণতান্ত্রিক ফেডারেল ভারত চায় না, এই সংবিধান চায় না সংঘ পরিবার – এটা প্রচারে উঠে আসে নি। তাই caste census কে একমাত্র হাইলাইট করতে গিয়ে নির্যাতিত মানুষের শত্রু যে বিজেপির সমস্ত রাজ্যগুলি তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়নি। ফলে caste census প্রচার ভোতা হয়ে গিয়ে কংকে casteist পার্টি বলতে সফল হল মোদী বাহিনী।
৫. নির্বাচন কমিশন, আদালত মুখে কুলুপ এটে বসে থাকলো যখন মোদীরা সরাসরি সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় বিভাজনের জিগির তুললো। এটা জনমতকে বিপথে চালিত করলো যার বিরুদ্ধে কং তেমন সোচ্চার হয়নি। উপরন্তু EVM মেশিনের বিরুদ্ধে ব্যালটে ভোটের প্রচার করা যে জরুরি তা কং বোঝেনি। EVM নষ্টের মূল – এখন হিন্দুতবাদী কমল নাথ বলছে। এটা অর্থহীন কারণ ইনি ভেবেছিলেন, বাবার নামে তিলক কেটে মন্দিরে ছুটলে ভোট আসবে। একজন গোড়া খ্রীস্টান যদি ভাবে তিনি যীশুর চেয়েও বড় খ্রীস্টান হবেন, তা যেমন হাস্যকর , তেমনি মোদীর হিন্দুত্বের সাথে কমলের পাল্লা দেওয়া তেমনি হাস্যকর।কং এর সেকুলার Credentials নষ্ট করল কমলনাথ, আর রাহুল নিজে বদ্রিনাথে তিনদিন পড়ে থাকলেন মোক্ষম সময়ে যা আমার মতো রাহুল ভক্তকেও ভাবিয়ে তুলছে।

কি করণীয় ২০২৪ এ INDIA জিততে?

  1. INDIA কে জিততে প্রথম যা দরকার তা হল ৯০% ক্ষেত্রে 1:1 লড়াই। তারজন্য দরকার কং এর নমনীয়তা ( Flexibility) । উ প্রদেশে, দিল্লিতে, পাঞ্জাবে, পশ্চিমবাংলায় যথাসম্ভব কম আসন নিক কং, এবং অন্যান্য জায়গায় আঞ্চলিক দলগুলি কংকে বেশি আসন ছেড়ে দিক। তাদের উচিৎ হবে কং এর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আগের মতো রক্ষা করা। আসন রফার হিসাবের মাপকাঠি হবে পারস্পরিক শক্তি সর্বশেষ লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান চিত্র।
    ২. অভিন্ন নূন্যতম কর্মসূচি ( CMP) ঘোষণায় দেরি না করা। দাবিভিত্তিক কর্মসূচির কাজ হবে এখুনি জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলা
    ২.এই কর্মসূচি হবে আগামী INDIAর গণতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক সেকুলার সোশালিস্ট সরকারের কর্মসূচি। তাই ওপরের রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের সাথে নিচুতলার সমস্ত গনসংগঠন এবং অজস্র নাগরিক সমাজের আন্দোলনকে সংযুক্ত করতে হবে এবং আজকের হাওয়াকে ঝড়ে এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত করতে হবে । সেটাই হবে জনজাগরণের গ্যারান্টি। শুধু ওপরতলার নেতাদের ডায়াসের বক্তৃতায় ফ্যাসিস্ট শাসককে অপসারণ করা অসম্ভব যদি নিচু তলায় জনজাগরণের ঢেউ না ওঠে। এটাই দেশবিদেশের অভিজ্ঞতা শিক্ষা দেয়।
    ৩. কোন নিরাশাবাদ ( pessimism) নয়, আশাবাদের (optimism) পতাকা তুলে ধরতে হবে। ৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বৃটিশ ভারত ছাড়েনি, কিন্তু তার ভিত তৈরি হয়েছিল। তারপর কৃষক বিদ্রোহ, নৌ বিদ্রোহ, নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তি আন্দোলন এবং শত শত শহিদদের রক্তের বিনিময়ে ভারত স্বাধীন হয়। রাশিয়ায় ১৯০৫ এবং চীনের ১৯২৭ সালের বিপ্লব অব্যর্থ হয়েও শেষে বিপ্লব জয়ী হয়। ২০০৩ সালে এই তিন বিধানসভায় কং হেরেও ২০০৪ সালে কং নেত্তৃত্বে UAPA জোট ক্ষমতায় আসে। ২০১৮ সালে কং ঐ তিনটি জিতলেও লোকসভার ভোটে বিজেপি জেতে ২০১৯ সালে।
    ৪. ইতিবাচক দিক হল চারটি রাজ্যে ( তেলেঙ্গানা, ম: প্র:, রাজস্থান, ছত্রিশগড়) মোট ভোটের শতকরা হারে কং ১.৬% হারে এগিয়ে বিজেপির চেয়ে যদিও তেলেঙ্গানা ছাড়া কোথাও জিততে পারেনি। মনে রাখতে হবে, রাজনীতির ময়দান থেকে মানুষের জীবনের ময়দানে ব্যর্থতাই সফলতার সিড়ি ( Failure is the pillar of success)
    ৫. ২০২৪ এ শুধু বিজেপিকে হারানো শেষ কথা নয়, আরএসএস পরিচালিত ব্রাহ্মণ্যবাদী মনুবাদী crony capitalist বেনিয়া সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট সমাজব্যবস্থা এবং মার্কিন- ইজরায়েলী- ইন্ডিয়ার ফ্যাসিস্ট আন্তর্জাতিক চক্রান্তকে ভেঙে ফেলতে ভারতীয় জনগনকে লং মার্চ করতে হবে। এটা দীর্ঘস্থায়ী লড়াই ( protracted war). আশু প্রয়োজন ফ্যাসিস্ট জমানার বিরুদ্ধে ব্যাপকতম ফ্রন্ট, শোষিত শ্রেণী ও নির্যাতিত জাতিগুলো এবং নির্যাতিত মহিলা জাতি, সংখ্যালঘু মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ও সমস্ত নিপীড়িত ভাষাভাষী জনগনের ফ্রন্ট। কবির ভাষায়, miles to go before we sleep, miles to go before we sleep
]]>
https://drshamsulalam.com/2024/05/18/why-cong-lost-in-3-states-analysis-by-dr-shamsul-alam/feed/ 0
সংসদে দুই শিক্ষিত দেশপ্রমিক বেকার যুবকের ঢুকে পড়ায় রাজা উলঙ্গ হল- https://drshamsulalam.com/2023/10/01/hello-world/ https://drshamsulalam.com/2023/10/01/hello-world/#comments Sun, 01 Oct 2023 10:50:24 +0000 https://drshamsulalam.com/?p=1 ~ড. শামসুল আলম

গতকাল দুই সাহসী সৎ উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবককদের নয়া সংসদে ঢুকে পড়া নিয়ে চারদিকে হৈহৈ শাোরগোল। চারদিকে গেল গেল রব। ভাগ্যিস কেউ মুসলিম- যুবক ছিল না। থাকলে এতক্ষণে NIA, IB, ঢাল তলোয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে এক সেকেন্ডে বলে দিত, এরা পাক মদতপুষ্ট টেলরিস্ট। না, এযাবত কেউ টেররিস্ট না বললেও ঐ দুই সংসদে ঢুকে পড়া যুবককে Criminal, anti- social হামলাবাজ আখ্যা দিচ্ছিল যা আর একবার মোদী জমানার ভারতীয় গণতন্ত্রের আসল নগ্ন চেহারা বেরিয়ে পড়ছে।

কেন একথা বলছি? কারণ যে দুজন ঢুকল তাদের পরিচয় এবং অতীত প্রমাণ করে তারা দেশপ্রমিক উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক। একজনের নাম লক্ষ্ণৌএর সাগর শর্মা যে আর্টস গ্রাজুয়েট এবং অন্যজনের নাম ডি মনোরঞ্জন যে Listening ইঞ্জিনিয়ারিং বি টেক। যে দুজন সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তাদের একজন হরিয়ানার কুমারী নীলাম আজাদ এবং অপরজন হচ্ছে মহারাষ্ট্রের অমল সিন্ধে। নীলাম এম ফিল পি এইচ ডি, আর সিন্ধে এম এস সি।
এই চারজন বিগত কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছে এবং বর্তমান মোদী জমানার মানবাধিকার হরণের বিরুদ্ধাচারণ করেছে। তাদের সকলের দাবি হচ্ছে : সমস্ত শিক্ষিত বেকারের চাকরি, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার, কৃষকের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা এবং নির্বাচন কমিশনের পরিপূর্ণ নিরপেক্ষতা। প্রসঙ্গত, মোদী সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বিল এনেছে। সবচেয়ে আনন্দের কথা এরা কেউ কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। এরা সিভিল সোসাইটির প্রবক্তা হিসাবে অসাধারণ ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য হল, এদের এখুনি মুক্তি দিতে হবে। এদের বীরত্ব, সাহস , গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের প্রতি নিষ্ঠা এবং সততাকে কুর্নিশ জানাতে হবে। এদের সকল দাবিকে সম্মান জানাক সরকার এবং বিরোধীরা। সর্বোপরি, আজ এবং এখুনি এদের উপস্থাপিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে শাসক দলীয় নির্বাচন কমিশনার্স বিল প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং চারজন সদস্যের মধ্যে একজন হবেন প্রধান বিচারপতি, এমন সংশোধনী আনতে হবে।
যখন সংসদ পঙ্গু হচ্ছে, জনতার সার্বভৌমতার প্রতিচ্ছবি হচ্ছে না, যখন সংসদ শাসকদলের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে, তখন এই চার- ছয় জন বিদ্রোহীকে জানাতে হয় সেলুট আর কুর্নিশ।

রাজা ছিল সত্যি উলঙ্গ। প্রাপ্তবয়স্ক সাবালকেরা টের পাচ্ছিল না। তখন এক শিশু বাবার কাধে চেপে টের পেল যে রাজা নিতান্ত উলঙ্গ। উলঙ্গ মোদী রাজের দিকে আঙুল তুলেছে ঐ ছয় বীর/ বীরাঙ্গনারা। ধোয়া বার না করলে টের পাওয়া যেতো না, সংসদ কতটা অসার হয়ে উঠেছে। কদিন আগে রাহুল গান্ধী, দানিশ আলি, মহুয়া মৈত্রকে হেনস্থা করা, আদানীর জয়কীর্তন করা, একের পর এক জনবিরোধী ফ্যাসিস্ট আইন আনার বিরুদ্ধে এই ছয়জনের অভিযান প্রগতির একটা মাইল ফলক। তাই তিরস্কার নয়, চাই এদের রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় পুরস্কার। সমস্ত স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিবাদী পাচ যুবক ও এক যুবতীর ছবি পাঠিয়ে দেবার জন্য বিরোধীরা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি তুলুক।

]]>
https://drshamsulalam.com/2023/10/01/hello-world/feed/ 1