সংসদে দুই শিক্ষিত দেশপ্রমিক বেকার যুবকের ঢুকে পড়ায় রাজা উলঙ্গ হল- admin, October 1, 2023May 18, 2024 ~ড. শামসুল আলম গতকাল দুই সাহসী সৎ উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবককদের নয়া সংসদে ঢুকে পড়া নিয়ে চারদিকে হৈহৈ শাোরগোল। চারদিকে গেল গেল রব। ভাগ্যিস কেউ মুসলিম- যুবক ছিল না। থাকলে এতক্ষণে NIA, IB, ঢাল তলোয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে এক সেকেন্ডে বলে দিত, এরা পাক মদতপুষ্ট টেলরিস্ট। না, এযাবত কেউ টেররিস্ট না বললেও ঐ দুই সংসদে ঢুকে পড়া যুবককে Criminal, anti- social হামলাবাজ আখ্যা দিচ্ছিল যা আর একবার মোদী জমানার ভারতীয় গণতন্ত্রের আসল নগ্ন চেহারা বেরিয়ে পড়ছে। কেন একথা বলছি? কারণ যে দুজন ঢুকল তাদের পরিচয় এবং অতীত প্রমাণ করে তারা দেশপ্রমিক উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক। একজনের নাম লক্ষ্ণৌএর সাগর শর্মা যে আর্টস গ্রাজুয়েট এবং অন্যজনের নাম ডি মনোরঞ্জন যে Listening ইঞ্জিনিয়ারিং বি টেক। যে দুজন সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তাদের একজন হরিয়ানার কুমারী নীলাম আজাদ এবং অপরজন হচ্ছে মহারাষ্ট্রের অমল সিন্ধে। নীলাম এম ফিল পি এইচ ডি, আর সিন্ধে এম এস সি।এই চারজন বিগত কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছে এবং বর্তমান মোদী জমানার মানবাধিকার হরণের বিরুদ্ধাচারণ করেছে। তাদের সকলের দাবি হচ্ছে : সমস্ত শিক্ষিত বেকারের চাকরি, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার, কৃষকের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা এবং নির্বাচন কমিশনের পরিপূর্ণ নিরপেক্ষতা। প্রসঙ্গত, মোদী সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বিল এনেছে। সবচেয়ে আনন্দের কথা এরা কেউ কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। এরা সিভিল সোসাইটির প্রবক্তা হিসাবে অসাধারণ ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য হল, এদের এখুনি মুক্তি দিতে হবে। এদের বীরত্ব, সাহস , গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের প্রতি নিষ্ঠা এবং সততাকে কুর্নিশ জানাতে হবে। এদের সকল দাবিকে সম্মান জানাক সরকার এবং বিরোধীরা। সর্বোপরি, আজ এবং এখুনি এদের উপস্থাপিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে শাসক দলীয় নির্বাচন কমিশনার্স বিল প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং চারজন সদস্যের মধ্যে একজন হবেন প্রধান বিচারপতি, এমন সংশোধনী আনতে হবে।যখন সংসদ পঙ্গু হচ্ছে, জনতার সার্বভৌমতার প্রতিচ্ছবি হচ্ছে না, যখন সংসদ শাসকদলের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে, তখন এই চার- ছয় জন বিদ্রোহীকে জানাতে হয় সেলুট আর কুর্নিশ। রাজা ছিল সত্যি উলঙ্গ। প্রাপ্তবয়স্ক সাবালকেরা টের পাচ্ছিল না। তখন এক শিশু বাবার কাধে চেপে টের পেল যে রাজা নিতান্ত উলঙ্গ। উলঙ্গ মোদী রাজের দিকে আঙুল তুলেছে ঐ ছয় বীর/ বীরাঙ্গনারা। ধোয়া বার না করলে টের পাওয়া যেতো না, সংসদ কতটা অসার হয়ে উঠেছে। কদিন আগে রাহুল গান্ধী, দানিশ আলি, মহুয়া মৈত্রকে হেনস্থা করা, আদানীর জয়কীর্তন করা, একের পর এক জনবিরোধী ফ্যাসিস্ট আইন আনার বিরুদ্ধে এই ছয়জনের অভিযান প্রগতির একটা মাইল ফলক। তাই তিরস্কার নয়, চাই এদের রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় পুরস্কার। সমস্ত স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিবাদী পাচ যুবক ও এক যুবতীর ছবি পাঠিয়ে দেবার জন্য বিরোধীরা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি তুলুক। প্রবন্ধ
Hi, this is a comment. To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard. Commenter avatars come from Gravatar. Reply